
ড. ইউনুস ও টিউলিপ সিদ্দিক। কোলাজ ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, লন্ডনে টিউলিপ সিদ্দিকের সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি শনিবার (১১ জানুয়ারি) সানডে টাইমসকে (দ্য টাইমস) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন।
সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিককে ক্ষমা চাইতে হবে।’
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর এসেছে যে, টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মিত্রদের কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট নিয়েছেন।
টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) হিসেবে কর্মরত। তিনি বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সূত্রে যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি বেইডনক টিউলিপকে বরখাস্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
কেমি বেইডনক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্ববর্তী টুইটার) এক পোস্টে বলেন, কিয়ের স্টারমারের উচিত শিগগির টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করা। তিনি অভিযোগ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী (স্টারমার) তার বন্ধুকে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন, কিন্তু সেই মন্ত্রী নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত।’
এদিকে টিউলিপ সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা স্যার লউরি ম্যাগনাসকে একটি চিঠি লিখে বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলছি, কোনো ভুল করিনি, তবে সন্দেহ এড়ানোর জন্য আমি চাই, আপনি স্বাধীনভাবে এগুলো তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করুন।’
ডাউনিং স্ট্রিট ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছে যে, স্যার লউরি একটি 'যাচাইকরণ' প্রক্রিয়া অনুসরণ করবেন এবং এরপর সিদ্ধান্ত নেবেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের প্রয়োজন আছে কিনা।
এছাড়া দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের ঘনিষ্ঠরা টিউলিপ সিদ্দিককে পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য কাজ শুরু করেছে, এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে নাম উঠে এসেছে।