ছাগলকাণ্ডের মতিউরের স্ত্রীর ৭ দিনের রিমান্ড চায় দুদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের স্ত্রী ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকির ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এই বিষয়ে শুনানি হবে।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর মোশাররফ আলী সালাম বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, দুদকের সহকারী পরিচালক ইসমাইল ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছেন। শীঘ্রই আদালতে শুনানি হবে।
রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামি লায়লা কানিজকে ভোর সাড়ে ৪টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথম মামলায় লায়লা কানিজ ও মতিউর রহমানকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, লায়লা কানিজ ১৩ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনায় আসেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক। এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা সৃষ্টি করে। বলা হয়, তার বাবা এনবিআর সদস্য এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমান।
এরপর থেকেই মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে তাদের বিপুল বিত্তবৈভবের তথ্য।
গত বছরের ৪ জুন দুদক মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানের নামে তদন্ত শুরু করে। অনুসন্ধানে ৬৫ বিঘা জমি, আটটি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এবং তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া যায়। তাদের ব্যাংক হিসাব, মোবাইল আর্থিক সেবা হিসাব ও শেয়ারবাজারের বিও হিসাবও জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে ২৪ জুন আদালত মতিউর ও তার প্রথম স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।
গত ২ জুলাই দুদক মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী চেয়ে পৃথক নোটিশ পাঠায়। নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ আগস্ট মতিউর, তার দুই স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েসহ পাঁচজনের সম্পদ বিবরণী দুদকে জমা দেন।