দাভোসে দ্বিতীয় দিনে ১৪ বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা
যুগেরচিন্তা২৪ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম
ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে জার্মানির ফেডারেল চ্যান্সেলারির প্রধান ও ফেডারেল মিনিস্টার ফর স্পেশাল টাস্কস বিষয়ক মন্ত্রী ভল্ফগ্যাং স্মিড। ছবি: সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে বুধবার (২২ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দিনটি ব্যস্ততার সঙ্গে কাটাচ্ছেন। এদিন তিনি অন্তত ১৪টি বৈঠকে অংশ নেবেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে জানিয়েছেন, প্রথম বৈঠকে ড. ইউনূস জার্মানির ফেডারেল চ্যান্সেলারির প্রধান ও ফেডারেল মিনিস্টার ফর স্পেশাল টাস্কস ভল্ফগ্যাং স্মিডের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং সচিব (পশ্চিম) এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ফাঁকে ড. ইউনূস বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পাইতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেছেন।
ডব্লিউইএফের এই বার্ষিক সম্মেলনে বুধবার ড. ইউনূসের প্রধান কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই কালচার অ্যান্ড আর্টস অথরিটির চেয়ারপারসন শেখ লতিফা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে বৈঠক।
মঙ্গলবার বিকালে ডাভোসে পৌঁছে প্রথম দিনে তিনি বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ছয়টি বৈঠক সম্পন্ন করেছেন। এর আগে, সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে ডাভোসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম।
ড. ইউনূসের সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রেস সচিব শফিকুল আলম, এবং সচিব (পশ্চিম) এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ।
২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সম্মেলন
এই বছরের সম্মেলনটির প্রতিপাদ্য ‘কলাবোরেশন ফর দ্য ইন্টেলিজেন্ট এজ’। বৈঠকটি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের একত্রিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে:
ভূ-রাজনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলায় সাড়া দেওয়া।
জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রবৃদ্ধিকে চাঙা করা।
ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জ্বালানি রূপান্তর পরিচালনা করা।
সম্মেলনে বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি দেশের প্রায় তিন হাজার নেতা অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৬০টি অঞ্চলের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ ৩৫০ জন শীর্ষ নেতা উপস্থিত রয়েছেন।
এই সম্মেলন পাঁচটি স্বতন্ত্র অথচ আন্তঃসংযুক্ত বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করে আয়োজন করা হয়েছে, যা আগামী দিনের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।