ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগ দিতে দুবাই যাচ্ছেন ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০০ পিএম

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
‘ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিট ২০২৫’-এ যোগ দিতে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধাবর (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দুবাইয়ের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ।
সফরকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, পারস্পরিক স্বার্থ, ভিসা উন্মুক্তকরণ, জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করবেন তিনি।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আজাদ এর আগে বলেছিলেন, এটি একটি সংক্ষিপ্ত সফর হবে। প্রধান উপদেষ্টা শুক্রবার দেশে ফিরবেন।
এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি চিঠি দেন।
‘শেপিং ফিউচার গভর্নমেন্টস’ প্রতিপাদ্য নিয়ে তিন দিনব্যাপী বিশ্বের সরকারের এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এটি ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, চিন্তাবিদ এবং বেসরকারি খাতের নেতাদের একত্রিত করেছে। সম্মেলনটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য উদ্ভাবনী সমাধান চিহ্নিত করাসহ সর্বোপরি পরবর্তী প্রজন্মের সরকারগুলোকে অনুপ্রাণিত ও ক্ষমতায়িত করে।
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ড. ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন এবং গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরার জন্য এই সম্মেলনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এর আগে বলেছিলেন, সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র/সরকারপ্রধানদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতীম দুই দেশ বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে সুসম্পর্ক রয়েছে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও অভিন্ন রাজনৈতিক অঙ্গনের ভিত্তিতে এ সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে সংহত হয়েছে।
মুখপাত্র আরও বলেন, দেশটিতে অবস্থানরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
তিনি বলেন, বস্ত্র, কৃষি পণ্য এবং জ্বালানি খাতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উভয় দেশ জাতিসংঘ ও ওআইসির মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে একসঙ্গে কাজ করছে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বাংলাদেশের অবকাঠামো ও স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।