"আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুম করা এক ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে"

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
সাবেক র্যাব কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুম করা এক ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, আলেপ উদ্দিন অসংখ্য গুম, খুন ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত। এক ব্যক্তিকে গুম করে রাখার সময় তার বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া স্ত্রীকে রমজান মাসে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করেন আলেপ উদ্দিন। এ ঘটনার তথ্যপ্রমাণ ইতোমধ্যে তদন্তকারীদের হাতে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, আলেপ উদ্দিন অনেক ব্যক্তিকে অপহরণ করে বছরের পর বছর আটকে রেখেছিলেন এবং নিষ্ঠুর নির্যাতন চালিয়েছিলেন। চোখ বেঁধে রাখা, ইলেকট্রিক শক দেওয়া এবং উল্টো করে ঝুলিয়ে নির্যাতনের মতো অমানবিক কৌশল তিনি ব্যবহার করতেন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক ফেসবুক পোস্টে আলেপ উদ্দিনের নাম প্রকাশ করেন।
পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, এক গুম হওয়া ব্যক্তি অভিযোগ করেন, শবেকদরের রাতে তার স্ত্রীকে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করা হয়, এবং এ ধরনের ঘটনা একাধিকবার ঘটে। ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে স্বামীকে চুপ থাকতে বাধ্য করা হয়। শেষবার ধর্ষণের পর ওই নারী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং কিছুদিন পর মারা যান।
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, আলেপ উদ্দিন বন্দি পুরুষদের স্ত্রীদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণকে ‘অলিখিতভাবে স্বীকৃত’ বলে দাবি করেছিলেন।
আলেপ উদ্দিন ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পরেও বহাল তবিয়তে ছিলেন। তিনি এসবি থেকে বদলি হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরে ২০ অক্টোবর ২০২৪ সালে একটি ফেসবুক পোস্টের পর তাকে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় এবং পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আলজাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের বলেছেন, আলেপ উদ্দিনের মতো আরও অনেক ব্যক্তি বিভিন্ন বাহিনীতে এখনো কর্মরত আছেন, যারা অপহরণ, গুম ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। এদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তির আওতায় আনা জরুরি।