অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি, ব্রেইল বইসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।  

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ও মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় অবিচলভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যা দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  

তিনি বলেন, "মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাসহ বিশ্বের সব ভাষাভাষী মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ইউনেসকো ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘Make Language Count for Sustainable Development’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।"  

ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, "শত বছরের শাসন ও শোষণে জর্জরিত বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামের প্রথম জয়যাত্রা শুরু হয় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে। ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব আমাদের ইতিহাসে অপরিসীম। এই আন্দোলনের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি রচিত হয়েছিল। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য শহীদ আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালাম, রফিক উদ্দিন আহমদ, শফিউর রহমানসহ অনেকে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।"  

তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৫৬ সালে বাংলা রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পায় এবং ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘শহীদ দিবস’ ঘোষণা করে সরকারি ছুটি নির্ধারণ করা হয়। এরপর, ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে, যা আজ বিশ্বব্যাপী পালিত হয়।  

প্রধান উপদেষ্টা মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং এ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।