Logo
Logo
×

জাতীয়

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগ নেতাদের ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর বিচারের দাবিতে ক্ষোভ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২০ পিএম

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগ নেতাদের ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর বিচারের দাবিতে ক্ষোভ

ছবি : সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগ নেতাদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হওয়া এক শিক্ষার্থী বিচার চেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিচার না পাওয়ার পাশাপাশি আন্দোলনের সমন্বয়কারীরাও বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত "জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীদের ভূমিকা" নিয়ে ছবি ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনীতে ওই শিক্ষার্থী তার দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, গত ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া গোলচত্বর থেকে ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। এরপর তোলারাম কলেজের পাশে তাদের একটি অফিসে আটকে রেখে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।

তিনি বলেন, "তারা আমার ফোন কেড়ে নেয়, বাজে কথা বলে ও গালাগালি করে। পরে সবাই অফিস থেকে বেরিয়ে গেলে দুজন থেকে যায় এবং তারা আমাকে ধর্ষণ করে।"

বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘোরা, কিন্তু উপেক্ষা ওই ছাত্রী দাবি করেন, ঘটনাটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অধিকাংশ নেতাই জানতেন, কিন্তু কেউই বিষয়টি গুরুত্ব দেননি।

তিনি অভিযোগ করেন, "আমি সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা আপুকে জানালে তিনি শুধু দুঃখ প্রকাশ করে বিষয়টি চেপে যান। নুসরাত তাবাচ্ছুম আপুকে জানালে তিনি বলেছিলেন হোয়াটসঅ্যাপে নক দিতে, কিন্তু পরে আর কোনো সাড়া দেননি।"

এছাড়া তিনি জানান, আন্দোলনের আরেক নেতা সারজিস বিষয়টি জানতেন এবং প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বিচার নিশ্চিত করার আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত কিছুই করেননি।

ভুক্তভোগী ছাত্রী আরও জানান, নভেম্বরের ১০ তারিখে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন এবং ৩১ ডিসেম্বর গর্ভপাত করাতে বাধ্য হন।

সমন্বয়ক নুসরাত তাবাচ্ছুম এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে দাবি করেছেন, ওই ছাত্রীকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসা, তদন্ত এবং মামলা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার নিজস্ব কিছু চাহিদা প্রকাশ করেছিলেন, যা অনুমতি ছাড়া বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সামাজিক আন্দোলনকর্মী মহিউদ্দিন রনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ ঘটনার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

তিনি লেখেন, "৬ মাস পরও বিচার নেই, শুধু ক্ষমতার জন্য আন্দোলন? আর কত প্রাণ দিতে হবে ন্যায়ের জন্য?"

তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন, "ড. ইউনূসের বিচার নিয়ে দলগুলো বৈঠক করে, কিন্তু এই শিক্ষার্থীর ধর্ষকদের বিচারের দাবি কেন তোলে না?"

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর বিভিন্ন মহল থেকে বিচারের দাবি উঠেছে। শিক্ষার্থী ও মানবাধিকারকর্মীরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানিয়েছেন।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: [email protected]

অনুসরণ করুন