বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেল থেকে পালিয়ে গেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ এএম

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনা ঘটেছে গত বছরের ৫ আগস্টের পর, তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ছয় মাস পর, আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি)। এই তথ্য জানিয়েছেন আবরারের ছোট ভাই ও বুয়েটছাত্র আবরার ফাইয়াজ।
সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি ৫ আগস্টের পর জেল থেকে পালিয়ে গেছে। অথচ আমাদের জানানো হলো আজ, যখন তার আইনজীবী কোনো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে আসেননি। ফাঁসির আসামিকে তো কনডেম সেলে থাকার কথা, তাহলে সে পালাল কীভাবে? পালানোর পর এতদিন বিষয়টি গোপন রাখা এটিই প্রমাণ করে যে, তাকে ধরার কোনো চেষ্টাই করা হয়নি। এর আগেও তিনজন আসামি পলাতক ছিল।”
ফেসবুক পোস্টে ফাইয়াজ আসামির নাম-ঠিকানাও উল্লেখ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে:
মুনতাসির আল জেমি
পিতা: আব্দুল মজিদ
মাতা: জোসনা বেগম
ঠিকানা: ৫/১ বাউন্ডারি রোড, নতুন বাজার, কোতোয়ালি, ময়মনসিংহ
জানা গেছে, মুনতাসির আল জেমি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা ও রায়ের পটভূমি
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করেন। ঘটনার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আদালত এ মামলায় বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে পাঠানো হয়, যা নিম্ন আদালতের রায় পর্যালোচনার জন্য বাধ্যতামূলক প্রক্রিয়া। গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।
আজ সোমবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি কিউরিয়া অ্যাডভাইজারি ভল্টে রেখেছে, অর্থাৎ যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করা হতে পারে।
শুনানির সময় আদালতে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না, যা দেখে আদালত বিষয়টি জানতে চান। তখন রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, মুনতাসির আল জেমি গত বছরের ৬ আগস্ট কারাগার থেকে পালিয়ে গেছে।