সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছাড়া জাতি মজবুত হয় না : কাদের গনি চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, দেশে হিন্দু-মুসলমানসহ সকল নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। অতীতের সরকার আমাদের অধিকার কুক্ষিগত করেছিল, তবে আমরা আমাদের মালিকানা ফেরত চাই। সাহা সম্প্রদায় শুধু এ দেশেই নয়, সারা বিশ্বেই অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত এক সম্প্রদায় হিসেবে স্বীকৃত।
আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নরসিংদীর মাধবদীতে ড্রিম হলি ডে পার্কে 'সাহা ফাউন্ডেশন'-এর ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কাদের গনি চৌধুরী এসব কথা বলেন। সাহা সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন যারা অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে সংখ্যালঘু নির্যাতন চালিয়েছে, প্রিয়া সাহা তাদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন। আমি আজ তাকে শ্রদ্ধা জানাই।
অনুষ্ঠানে সাহা ফাউন্ডেশনের সভাপতি মলয় কুমার সাহা সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, ড্রিম হলি ডে পার্কের কর্ণধার ও সাহা ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা প্রবীর সাহা সহ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। পরে কাদের গনি চৌধুরীর হাতে সাহা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ফুল তুলে দেওয়া হয়।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, দেশ ও জাতি গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ একসাথে বসবাস করতে পারে, তবে তাদের মধ্যে সম্প্রীতি না থাকলে একটি শক্তিশালী জাতি তৈরি হতে পারে না। সম্প্রীতির অভাবে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়, যা সমাজ ও দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সম্প্রীতি নষ্ট হলে সমাজ অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, যুদ্ধ ও সংঘাত দেখা দেয়, মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব ও অবিশ্বাসের জন্ম হয়, যা দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের পাশাপাশি হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানরা মিলেমিশে বাস করে। আমাদের বিশ্বাস হলো ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। আমরা বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করি। আমাদের ঐতিহ্য হলো সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও সহযোগিতা। ১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৭০, ১৯৭১, ১৯৯০, ২০২৪ সালে জাতি তার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন রেখেছে এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল ধর্মের মানুষ এক হয়ে লড়াই করেছে।
আমাদের প্রত্যেকটি উৎসবে বাঙালি জাতি এক হয়ে যায় এবং পহেলা বৈশাখ, ঈদ, পূজা, বড়দিন, বৌদ্ধপূর্ণিমা, বৈসাবি এবং জাতীয় দিবসগুলোতে সাম্প্রদায়িক পরিচয় ভুলে এক জাতি হিসেবে অংশগ্রহণ করে। আমাদের এই ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে হবে।