Logo
Logo
×

জাতীয়

জুলাই গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম

জুলাই গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ

ছবি : সংগৃহীত

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক আজ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জুলাই গণহত্যা সংক্রান্ত একটি তথ্য অনুসন্ধানী মিশনের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় ভলকার তুর্ক বলেন, জুলাই গণহত্যার ঘটনায় ব্যাপক মাত্রায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। নারীদের ওপর সহিংসতা চালানো হয়েছে, অনেক শিশু ও তরুণ স্থায়ীভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে গেছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের কাজে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছে। ভবিষ্যতেও জাতিসংঘ এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

ভলকার তুর্ক বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণহত্যার বিচারের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। তবে তিনি স্বীকার করেন, এই সংস্কার বাস্তবায়ন একটি জটিল ও দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব। জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশন ও সরকার যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, “সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।" এ লক্ষ্যে ঐক্যমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে কিছু রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয় উঠে এসেছে। আসিফ নজরুল বলেন, “রাজনৈতিক সহিংসতার অধিকাংশ ঘটনার জন্য আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দায়ী।” তবে তিনি যোগ করেন, সরকার কোনো ধরনের সহিংসতাকে সমর্থন করে না।

সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে একপেশে তথ্য দেওয়া ঠিক হবে না। সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি বিভিন্ন সহিংসতায় মুসলিমরাও ব্যাপকভাবে ভুক্তভোগী।”

গত ১২ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। ১৯ জুলাই এক বৈঠকে শেখ হাসিনা আন্দোলনের নেতাদের গ্রেফতার, হত্যা ও গুমের নির্দেশ দেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কোর কমিটি গঠন করা হয়, যারা ২০ জুলাই থেকে নিয়মিত বৈঠক করেছিল।

এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশ সরকার কীভাবে এই অভিযোগের জবাব দেয় এবং বিচারের জন্য কী ব্যবস্থা নেয়।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: [email protected]

অনুসরণ করুন