এমপি আনার হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত কিনা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যুগেরচিন্তা প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪, ০৩:১৯ পিএম
সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার (২২ মে) ধানমন্ডির বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে । তিনি বলেন, এমপি আনার খুনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২২ মে) ধানমন্ডির বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
এর আগে এমপি আনারের মরদেহ উদ্ধার নিয়ে কথা বলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। কোনো নিশ্চিত তথ্য না থাকায় তারা তখন বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
জানা গেছে, ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজিম কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেন এলাকায় খুন হয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টিভি নাইন বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১২ মে কলকাতায় যান আজিম। একজন অফিসারের ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন। বরানগর এলাকার সিঁথিতে আজিম যে বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন তার নাম গোপাল বিশ্বাস। গত ১৩ মে দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভাড়া করা গাড়িতে ওঠেন আজিম। তারপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সংসদ সদস্য আজিমকে খুন করা হয়েছে। তবে পুলিশ এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে মুখ খুলছে না।
সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কারা আজিমের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। আর এ তদন্তে কাজ করছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনার, আইবি ও এসটিএফ।
পশ্চিম বঙ্গের সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে খুন হয়েছেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম। গত ৮ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে দুই দেশের কূটনৈতিক মহলে। কে বা কারা তাকে খুন করেছে তার তদন্তে নেমেছে দেশটির পুলিশ প্রসাশন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ঝিনাইদহের এমপি যথাযথভাবে ইমিগ্রেশন পার হয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। যাওয়ার পর তার কোনো খোঁজখবর পাচ্ছি না। সরকারের সব এজেন্সি এটা নিয়ে কাজ করছে। এনএসআই, এসবি, পুলিশ কাজ করছে। ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে এটা নিয়ে কাজ চলছে। আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো আপডেট নেই। যতটুকু শুনেছি, তার মোবাইল ফোনটা বন্ধ আছে।’
জানা গেছে, এক সময় আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের ওয়ারেন্টভুক্ত ছিলেন আনার। আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৬ সালে ইন্টারপোলের তালিকায় তার নাম ওঠে। ২০০৯ সালে ইন্টারপোলের ওয়ান্টেড তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার হওয়ার পর এলাকায় ফিরে আগের মতোই কর্মকাণ্ড শুরু করেন তিনি।