ইসলামি শরিয়তে দৃষ্টিশক্তি ব্যবহারেও সুনির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
দৃষ্টিশক্তি মহান আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত। এ নেয়ামতের যেমন শুকরিয়া আদায় করা উচিত, তেমনই এর যথাযথ স্থানে ব্যবহার করা আবশ্যক। মহান আল্লাহ আমাদের যত নেয়ামত দিয়েছেন প্রত্যেক নেয়ামতের ব্যবহারবিধি বলে দিয়েছেন।
দৃষ্টিশক্তি ব্যবহারেও সুনির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন। এই চোখ দ্বারা অশ্লীল কিছু দেখা যাবে না। তেমনই কোনো মাহরাম নয় এমন নারীর প্রতি দৃষ্টি দেয়া যাবে না। সব সময় দৃষ্টি সংরক্ষণ করতে হবে।
দৃষ্টির লাগামহীনতাই অধিকাংশ অশ্লীলতার প্রধান উৎস। কুদৃষ্টি সব অনিষ্টের মূল। দৃষ্টি দিয়েই বাঁধভাঙা ফেতনা সৃষ্টি হয়। তাই ইসলাম দৃষ্টিশক্তির ওপর পাহারাদার নিযুক্ত করে দিয়েছে। প্রত্যেক মুমিনকে দৃষ্টি অবনত রাখার নির্দেশ এটাও ইসলামের ফলপ্রসূ শিক্ষারই চমৎকার বহিঃপ্রকাশ।
এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ
অর্থ: হে নবী! আপনি মুমিনদেরকে বলে দিন, তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য রয়েছে পবিত্রতা। তারা যা করে মহান আল্লাহ তা সম্পর্কে সম্যক অবগত। (সুরা নুর, আয়াত: ৩০)
আয়াতের প্রথমাংশে রয়েছে শিষ্টাচারের বিবরণ। অর্থাৎ যেসব বস্তু দেখা মুমিনদের জন্য অবৈধ, তা থেকে যেন দৃষ্টিকে অবনত রাখে। গোলামের কৃতিত্ব হলো মনিবের আনুগত্য করা। আয়াতটিতে এ শিক্ষাও রয়েছে যে, দৃষ্টির হেফাজত প্রথম কাজ। লজ্জাস্থানের সংরক্ষণ সর্বশেষ কাজ। একটির জন্য অপরটি অপরিহার্য। সুতরাং দৃষ্টির লাগাম ধরতে না পারলে লজ্জাস্থানও অনিবার্যভাবে নিয়ন্ত্রণের গণ্ডিতে রাখা যায় না।