২০ কোটি টাকার মানহানির মামলা থেকে তারেক রহমানকে অব্যাহতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:২৯ এএম
ছবি : সংগৃহীত
২০ কোটি টাকার একটি মানহানির মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (১২ আগস্ট) পটুয়াখালীর কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৭ ধারায় তাকে অব্যাহতির আদেশ দেন।আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কাইউম এ আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দেয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, এ মামলাটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা। মামলার বাদী দীর্ঘ নয় বছরে আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। কৌঁসুলিরও কোনো ধরনের তদবির ছিল না। তারপরও মামলাটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আদালতকে ব্যবহার করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রেখেছিল।
এর আগে ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. হাবিবুল্লাহ রানা বাদী হয়ে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০ কোটি টাকার এ মানহানি মামলা (সিআর-২/২০১৫) করেছিলেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বপন রায়ের আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আদেশ না দিয়ে সরাসরি মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। বাদী পক্ষে মামলার কৌঁসুলি ছিলেন প্রয়াত অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন তালুকদার।
মামলায় বলা হয়, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ইস্ট লন্ডনের অস্ট্রিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতিহাস বিকৃত করে করে সাবেক রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার-পাকবন্ধু হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারবর্গের কোনোই অবদান নেই, শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের জন্য লালসালু, এ লালসালুকে ঘিরে থাকে ভক্তরা-এমন বক্তব্যও দেন তারেক রহমান।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, তারেক রহমান শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গকে রাজাকার-পাকবন্ধু বলে কটূক্তি করে দেশ, জাতি তথা বাংলাদেশের সুনাম ও সুখ্যাতি বহির্বিশ্বে ক্ষুণ্ন করে ২০ কোটি টাকার সম্মানহানির ঘটনা ঘটিয়ে অন্যায় করেছেন। এমন মন্তব্যে এ মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লা মানসিকভাবে আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। যার কারণে হাবিবুল্লাহ রানা বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।