Logo
Logo
×

রাজনীতি

অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০০ এএম

অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া

ফাইল ছবি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। 

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন।

এ মামলায় খালেদা জিয়া ও অন্যদের করা আপিল আবেদনের শুনানি শেষ হওয়ার পর আজকের দিন রায় ঘোষণার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।

এর আগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিলের শুনানি চলাকালে তিনি ৫ বছরের কারাদণ্ডের পরিবর্তে ১০ বছরের সাজা বহাল রাখার বিরুদ্ধে আপিল করেন।

প্রধান অভিযুক্ত খালাস পাওয়ার পর বিএনপির আইনজীবীদের দাবি, মামলায় অন্য অভিযুক্তরাও খালাস পাওয়ার অধিকার রাখেন।

খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, এবং আরও কয়েকজন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্য আইনজীবী।

প্রাথমিকভাবে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছিল। পরে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট সেই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরে উন্নীত করে। এর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ খালেদা জিয়া পৃথক আপিল করেন।

গত ১১ নভেম্বর আপিল বিভাগের রায়ে তার ১০ বছরের কারাদণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয় এবং আপিল শুনানির সুযোগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পৃথক আপিলের শুনানির পর আজকের রায়ে খালেদা জিয়াকে খালাস দেওয়া হয়।

অপরদিকে, মামলায় কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিলও আদালতে শুনানি শেষে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মামলার আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী খালেদা জিয়া যে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন, তা সুবিচারের প্রতিফলন।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়েও বিএনপির আইনজীবীরা জানান, খালেদা জিয়া কোনো অপরাধ স্বীকার করেননি এবং ক্ষমার ওপর নির্ভর না করে তিনি আইনগতভাবে নিজের নির্দোষিতার প্রমাণ দিয়েছেন। তার এই খালাস দেশের আইনি ব্যবস্থার প্রতি আস্থা পুনঃস্থাপন করেছে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: [email protected]

অনুসরণ করুন