ফাইল ছবি
বছরের শেষ দিকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসা বিএনপি হঠাৎ তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে বছরের মাঝামাঝি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে।
দলটির সিনিয়র নেতারা মনে করছেন, সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যা জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার কৌশল হতে পারে।
বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, সরকারকে চাপ দিয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কোনো উদ্যোগ মেনে নেওয়া হবে না। দলটি সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সেমিনার ও কর্মসূচি আয়োজনের মাধ্যমে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন আদায়ের জন্য আন্দোলন চালাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে বলে আমাদের ধারণা। এটি জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার ষড়যন্ত্রের অংশ। তাই আমরা ডিসেম্বরে অপেক্ষা না করে জুলাই-আগস্টে জাতীয় নির্বাচন করার দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর রাখা যথাযথ, এটিকে পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই।’
সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে বিএনপির অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা বলেছেন। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান তোফায়েল আহমেদও ঢাকার বাইরের মানুষের স্থানীয় সরকারের প্রতি আগ্রহের কথা উল্লেখ করেছেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমেই তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’
বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যখন প্রস্তুত, তখন বছরের মাঝামাঝি জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।’
বিএনপির দাবি, জাতীয় নির্বাচনের পরেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত। তারা মনে করে, সরকারের দায়িত্ব হলো জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখা।
সরকার যদি তাদের দাবির প্রতি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া না দেখায়, তবে বিএনপি সমমনোভাবাপন্ন দলগুলোর সঙ্গে নতুন কৌশল গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।