Logo
Logo
×

রাজনীতি

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ

Icon

যুগেরচিন্তা২৪ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪০ এএম

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান

আজ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৮৯তম জন্মবার্ষিকী। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। এ বিশেষ দিনটি উপলক্ষে বিএনপি বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ। সকাল সাড়ে ৯টায় নেতারা শেরে বাংলা নগরের শহীদ জিয়ার কবরে দোয়া ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন।

এছাড়া বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বাগবাড়িতে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

পরদিন ২০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌলভীবাজারের সদর থানার ৬নং একাটুনা ইউনিয়নে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। এছাড়া দিনটি উপলক্ষে দেশের সব জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র এবং দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণের কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।

দিনটি উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ দর্শনের প্রবক্তা ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

বিএনপি নেতা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব শক্তিশালী করে জাতির মর্যাদাকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরেন। তার অসামান্য অবদানের কারণেই জনগণের মধ্যে দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে একটি ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে ওঠে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের অসম সাহসিকতা, সততা ও দেশের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ কর্মপ্রবণতা তাকে দেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। তার ডাকনাম ছিল কমল, এবং ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, জীবদ্দশায় দেশের সব ক্রান্তিকাল উত্তরণে শহীদ জিয়া জাতির দিশারি ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের জনগণের ওপর আক্রমণ করার পর তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন। তার অসীম বীরত্বের মাধ্যমে দেশবাসী তার অসাধারণ নেতৃত্বের পরিচয় পায়।

ফখরুল আরও বলেন, স্বাধীনতার পর দুঃসহ স্বৈরাচারী দুঃশাসনের মধ্যে যখন দেশ চরম হতাশায় ডুবে গিয়েছিল, তখন জিয়াউর রহমান জনগণের নেতৃত্ব গ্রহণ করে জাতিকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যান। গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়ে তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। তিনি কৃষি বিপ্লব, গণশিক্ষা বিপ্লব এবং শিল্প উৎপাদনের মাধ্যমে দেশকে স্বনির্ভর করে তুলতে কাজ করেন।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: [email protected]

অনুসরণ করুন