কুয়েটে হামলার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ও শিবিরকে দোষারোপ ছাত্রদলের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (ছাত্রদল) দায় চাপিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওপর।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা কুয়েটের ঘটনার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দায়ী করেন। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির দাবি করেন, কুয়েটের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ওমর ফারুক এবং কেন্দ্রীয় মনিটর হাসনাত আব্দুল্লাহ সংঘর্ষ উসকে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদল কুয়েটে সদস্য ফরম বিতরণ করেছিল। কিন্তু এর দুইদিন পর ছাত্রদলের তিন নেতা-কর্মীকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শিবিরের সন্ত্রাসীরা নির্যাতন করে। এমনকি দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানেও হামলা চালানো হয়। এরপরই গ্রামবাসীদের সঙ্গে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব জানান, সংঘর্ষের প্রকৃত কারণ খুঁজতে সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল খুলনায় পাঠানো হয়েছে। প্রশাসনিক ও পুলিশি তদন্তের আগেই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত টানা ঠিক হবে না। তবে প্রাথমিক তথ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উসকানির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই। যদি ছাত্রদলের কেউ দোষী প্রমাণিত হয়, তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিচারের দায়িত্ব রাষ্ট্রের।
কুয়েটে মঙ্গলবারের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেন।
বুধবার সকাল থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সামনে অবস্থান নেন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন। একাডেমিক ভবনের প্রবেশপথে তালা দিয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এক জরুরি সভায় কুয়েট ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। একই সঙ্গে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
এই সিদ্ধান্তের ফলে কুয়েটের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা এখন দেখার বিষয়।