মাগুরার সেই শিশু ও পরিবারের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
মাগুরায় নৃশংস নির্যাতনের শিকার শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এসময় তিনি শিশুটির চিকিৎসা, আইনি লড়াইসহ যেকোনো সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
শনিবার (৮ মার্চ) শিশুটির মায়ের সঙ্গে আলাপকালে, ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়নকে এই ঘটনার সার্বিক দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তারেক রহমান।
পরে সাংবাদিকদের নয়ন জানান, শিশুটির চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছেন তারেক রহমান। একইসঙ্গে শিশুটির পরিবার যেন অসহায়ত্ব অনুভব না করে, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। দোষীরা যেন কোনোভাবেই আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে না যায়, সে বিষয়েও কঠোর নজরদারি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আইয়ুব আলী জানিয়েছেন, এখনও মামলা হয়নি, তবে প্রক্রিয়া চলমান।
এদিকে, নির্যাতনকাণ্ডে দুইজনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। শনিবার সকালে শিশুটির বোনের শ্বশুর ও স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, পাশাপাশি তার ভাশুর ও শাশুড়িকেও আটক করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) সূত্র জানিয়েছে, শিশুটির চিকিৎসার জন্য চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ঢামেক হাসপাতালই তার চিকিৎসার পুরো ব্যয় বহন করবে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তার জিসিএস মাত্রা (GCS Score) চার-এ নেমে এসেছে, যা তার সংকটাপন্ন অবস্থার ইঙ্গিত দেয়।
তিনি আরও বলেন, শিশুটির শ্বাসপ্রশ্বাসে গুরুতর সমস্যা দেখা দিয়েছে, কারণ নির্যাতনের সময় তার গলায় প্রচণ্ড আঘাত করা হয়েছিল। এছাড়া শরীরে জ্বর রয়েছে এবং নিউমোনিয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
শিশুটির মামা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে এবং এখনও সে সেখানেই রয়েছে। তার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটাপন্ন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বজনরা জনসাধারণকে গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং শিশুটির সুস্থতার জন্য সবার দোয়া কামনা করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা জেলা সদরের নান্দুয়ালী মাঠপাড়ায় শিশুটির বোনের শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করে, বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নির্মম ঘটনার পর প্রথমে মাগুরা জেলা সদর হাসপাতালে, পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এবং শেষে গুরুতর অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এখন পুরো দেশই শিশুটির দ্রুত সুস্থতা এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অপেক্ষায়।