
প্রিন্ট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৩:১০ এএম
ইসলামে ধর্ষণ ও ব্যাভিচারের শাস্তি: কঠোর বিধান ও সামাজিক প্রতিরোধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:২০ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
ইসলামে ধর্ষণ ও ব্যাভিচারকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে এবং এর জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন, ব্যাভিচারী নারী ও পুরুষকে একশ বেত্রাঘাত করতে হবে এবং শাস্তি কার্যকরের সময় মুসলমানদের একটি দল তা প্রত্যক্ষ করবে। (সূরা নূর, আয়াত: ২)
ধর্ষণকে ইসলামে ব্যাভিচারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে ধর্ষণের ক্ষেত্রে নির্যাতিত ব্যক্তি কোনো শাস্তির আওতায় পড়ে না। বরং ধর্ষককে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। রাসুল (সা.)-এর যুগে এক ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিত নারীকে শাস্তি না দিয়ে ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ইসলামী আইন অনুযায়ী, বিবাহিত ব্যাভিচারীর শাস্তি পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড এবং অবিবাহিতদের জন্য একশ বেত্রাঘাত নির্ধারণ করা হয়েছে।
ধর্ষণ বা ব্যাভিচারকারীকে জনসম্মুখে শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমানো এবং মানুষের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করা। ইসলামী স্কলারদের মতে, ধর্ষণকারী একসঙ্গে দুটি অপরাধ করে—একটি ব্যাভিচার এবং অন্যটি নির্যাতিত ব্যক্তির শারীরিক ও সামাজিক মর্যাদার ক্ষতি। এজন্য ধর্ষকের শাস্তি আরও কঠোর হওয়া উচিত।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণের ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, ইসলামী আইনে ধর্ষণ ও ব্যাভিচারের শাস্তি কার্যকর করলে এই অপরাধ কমানো সম্ভব হবে। সমাজে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং অপরাধীদের দমন করতে কঠোর শাস্তির প্রয়োজনীয়তা এখন সময়ের দাবি।