পবিত্র আশুরাকে চিহ্নিত করতে বাগদাদের শিয়া মুসলমানরা কারবালার যুদ্ধকে পুনঃপ্রণয়ন করেন, যেখানে হুসেইন শহীদ হয়েছিলেন। ছবি : এফপি
আজ ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা। কারবালার ‘শোকাবহ এবং হৃদয়বিদারক ঘটনাবহুল’ দিনটি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে নানা-কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারা দেশে পবিত্র আশুরা পালন করা হবে। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ দিবস হিসেবে মুসলিমবিশ্বে এদিনটি গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিনটি উপলক্ষে আজ বুধবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করছে। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি গণমাধ্যম এবং স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এদিনের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে।
পবিত্র আশুরা উদযাপন উপলক্ষে আজ বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এই মিছিল নির্বিঘ্নে করার লক্ষ্যে কিছু নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পবিত্র আশুরা উদযাপন উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলে পাইক দলভুক্ত ব্যক্তিরা দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে অংশ নেয়, যা ক্ষেত্রবিশেষে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। তা ধর্মপ্রাণ নগরবাসীর মনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টিসহ জননিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ। তাছাড়া মহররম মাসে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়। সেটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তাজিয়া মিছিলে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি বহন এবং আতশবাজি ও পটকা ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন ডিএমপি কমিশনার। এই আদেশ তাজিয়া মিছিল শুরু থেকে শেষ সময় পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।