বাংলাদেশ বনাম যুক্তরাষ্ট্র
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ ঘরে তুললো যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম হারকে নিছক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দিলেও দ্বিতীয় ম্যাচ হারের পর সেটা বলার আর সুযোগ নেই। বরং গোছাল ক্রিকেট খেলেই তিন ম্যাচ সিরিজে এক ম্যাচ বাকি রেখে শিরোপা জিতে নিয়েছে তারা।
আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের ব্যবধান ১০। বাংলাদেশের অবস্থান যেখানে ৯, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৯তম। অথচ এমন দুর্বল দলের বিপক্ষে দেড়শর কম রানের টার্গেট পেরোতে পারল না টাইগাররা। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হারল টাইগাররা।
শেষ ২৪ বলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান, হাতে ছিল ৫ উইকেট। সাকিব আল হাসান, জাকের আলির ব্যাটাররা তখনও উইকেটে ছিলেন। সেখান থেকে ১৩ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১২ রান, হাতে মাত্র এক উইকেট। আলি খানের করা ওভারের প্রথম ২ বলে ৫ রান নিলেও তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন রিশাদ হোসেন। তাতে ৬ রানের জয় পায় যুক্তরাষ্ট্র।
টানা হারে এই সংস্করণে শততম হারের লজ্জার রেকর্ড স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ। ১৬৮ টি-টোয়েন্টি খেলে ৬৪ জয়ের বিপরীতে টাইগারদের হার ১০০ ম্যাচে।
অথচ লজ্জার রেকর্ডটি নিজেদের করে নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে মোট ১৯৩ টি-টোয়েন্টিতে খেলে ৯৯টিতে হার দুই বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। কাছাকাছি ছিল শ্রীলঙ্কাও। এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রের দেশটি ১৮৯ ম্যাচ খেলে ৯৮টি ম্যাচে হেরেছে। এ তালিকার চতুর্থ স্থানে আছে জিম্বাবুয়ে। ১৪৫ ম্যাচ খেলে ৯৫ হার তাদের। ২১৬ ম্যাচ খেলে ৯০ হার নিয়ে পাঁচে আছে নিউজিল্যান্ড।
গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে পাওয়া ৬ রানের জয়ের ম্যাচের নায়ক আলী। ২৫ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। যেখানে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করা সাকিবকে ফেরান এ পেসার। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে আলী বলেন, 'আসলে এখনও কাজ শেষ হয়নি। আমি খুশি দলকে সাহায্য করতে পেরে। সেরা পারফরম্যান্স বলব না। কারণ, আমি জানি আমার অনেক কিছুতে উন্নতি করতে হবে। আমি আরও অনেক ভালো করতে পারি।'