ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপন যুগের সমাপ্তি ঘটল। বুধবার (২১ আগস্ট) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভায় পদত্যাগ করেন তিনি। পাপনের উত্তরসূরী হিসেবে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন।
২০১২ সাল থেকেই বোর্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছিলেন পাপন। তার সময়ে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য অর্জনও পেয়েছে দেশের ক্রিকেট। তবে নিজের মেয়াদের শেষদিকে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের নিয়োগ, বোর্ডের কর্তাদের মধ্যে অন্তঃকলহে পরিবেশ কিছুটা ভিন্নখাতে প্রবাহিত হয়েছিল।
২০১৩ সালের পর ২০১৭ ও ২০২১ সালে টানা তিন মেয়াদে বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে এনএসসি কোটায় পরিচালক হয়েছিলেন পাপন। এরপর পরিচালকদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত দুই নির্বাচনে আবাহনীর কাউন্সিলর হিসেবে পরিচালক নির্বাচিত হন।
আগামী বছরের অক্টোবরে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে রাজনৈতিক পালাবদলে পাপনের সরে যাওয়া বিষয়টি ব্যাপক আকারের গুঞ্জনে রূপ নেয়। টানা তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি । সবশেষ ক্রীড়ামন্ত্রীও হয়েছিলেন। শেষমেশ সরেই দাঁড়ালেন তিনি। বর্তমানে ইংল্যান্ডে অবস্থান করছেন পাপন।
এর আগে, পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন জালাল ইউনুস। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত এই পরিচালক। এনএসসি থেকেই তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। সংস্থাটির মনোনীত আরেক পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলমকেও পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পদত্যাগ করেননি তিনি।
জালালের শূন্য পদে ফারুককে পরিচালক হিসেবে আনা হয়। এরপর পরিচালনা পর্ষদের ভোটে তাকে সভাপতি নির্বাচন করা হয়।
বেশ আগে থেকেই দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে সখ্যতা ফারুক আহমেদের। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে দুই দফায় নির্বাচকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০০৩ সালে প্রথমবার এই পদে বসেছিলেন তিনি। এরপর পাপনের বোর্ডেই ২০১৩ সালে আরেকবার নির্বাচক হন তিনি। তবে ২০১৬ সালে সরে দাঁড়ান তিনি।