বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ
অলআউটের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ভারতের সঙ্গে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার পর ঘরের মাঠে সাদা পোশাকে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করে ওঠতে পারেনি নাজমুল শান্তর দল। মধ্যাহ্নভোগের আগে ৬ উইকেট হারানোর পর এবার অলআউটের দ্বারপ্রান্তে স্বাগতিক দল। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭৬ রানেই ৮ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) মিরপুর শেরেবাংলায় ব্যাটিংয়ে নেমেই উইয়ান মুল্ডারের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশি ব্যাটাররা। ৬ ওভার না যেতেই টাইগার তিন ব্যাটারকে একাই সাজঘরে ফেরান এই পেসার।
দীর্ঘদিন পর ঘরের মাঠে একাদশে ফিরে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাদমান ইসলাম। উইয়ান মুল্ডারের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল লেংথ ডেলিভারিতে অহেতুক শট খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। ৬ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।
এরপর দলীয় ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল হক। মাত্র ৪ রান করে সেই মুল্ডারের বলেই কাইল ভেরেইনের হাতে ক্যাচ দেন সাবেক এই দলপতি।
নাজমুল হোসেন শান্তও হাল ধরতে পারেননি। দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করলেও মুল্ডারের তৃতীয় শিকার বনে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। বাংলাদেশের অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৭ রান।
বিপর্যয় সামলে নিতে জয়কে সঙ্গ দিচ্ছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিক। তবে রাবাদার গতির কাছে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারও হার মানেন। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে মুশির স্ট্যাম্প ভেঙে দেন রাবাদা। মুশফিককে ১১ রানে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ষষ্ঠ ও টেস্ট ইতিহাসের ৩৯তম বোলার হিসেবে ৩০০ উইকেটের মাইলফলকে নাম লেখান এই পেসার।
কিছুক্ষণ পর লিটন দাসকেও ফেরান এই পেসার। এই আউটের কৃতিত্ব অবশ্য ট্রিস্টান স্টাবসের। রাবাদার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে দেখেশুনেই ব্যাট চালিয়েছিলেন লিটন। কিন্তু স্লিপে দারুণ এক ক্যাচ নেন স্টাবস। এতে দলীয় পঞ্চাশের আগেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
লাঞ্চের আগে মিরাজকে ফেরান মহারাজ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেনি মিরাজ। সাজঘরে ফেরার আগে ২৪ বলে ১৩ রান করেন তিনি। ফলে ৬০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে একপ্রকার ধুঁকতে ধুঁকতেই লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
প্রথম সেশনে একপ্রান্ত আগলে রাখলেও দ্বিতীয় সেশনে আর উতরে যেতে পারেননি ওপেনার জয়। মধ্যাহ্নবিরতির পরই ফেরেন তিনি, ডেন পিটের বলে ৯৭ বলে ৩০ রান করে থামেন এই ওপেনার। জাকের আলীও পরের ওভারেই ফেরেন, ১৫ বলে ২ রান করেন তিনি।