শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে আগের দুই ম্যাচের একাদশে ছিলেন না সাব্বির রহমান। এরপরও তার ওপর আস্থা রেখেছিলেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। এই আস্থার প্রতিদান দিতে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ৩৩ বলে ৮২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন ৩৩ বছর বয়সী সাব্বির। তবে তা সত্ত্বেও পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙতে পারেনি ঢাকার দলটি।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ঢাকা সংগ্রহ করে ১৭৭ রান। জবাবে ৭ উইকেট ও ৩ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কিংস।

১৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় চট্টগ্রামকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও উসমান খান। পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৫ রানের জুটি গড়েন তারা।

তবে ইনিংসের সপ্তম ওভারের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন ইমন। ফেরার আগে ১৬ বলে ১৭ রান করেন তিনি।

অন্যদিকে মোস্তাফিজুর রহমানে উইকেট বিলিয়ে দেন আরেক ওপেনার উসমান খান। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৩ বলে ৫৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি।

তিনে নামা গ্রাহাম ক্লার্ক-ও ব্যাট হাতে সাবলীল ছিলেন। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।

শেষদিকে শামীম হোসেন ও মোহাম্মদ মিথুনের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ৩ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় বন্দরনগরীর দলটি। শামীম ১৪ বলে ৩০ ও মিথুন ২২ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে, চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ার ম্যাচে সাব্বির রহমানের ৯ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৩ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকার পাশাপাশি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম-ও বড় অবদান রাখেন। ৪ চার ২ ছক্কায় ৪৮ বলে ৫৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার।

এদিন সাব্বিরের সঙ্গে ফরমানুল্লাহ ৯ বলে ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন। তবে বাকিদের কেউই দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি। দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই জেসন রয় ৪ বলে ১, স্টিফেন এসকিনাজি ১৪ বলে ৫, শাহাদাত হোসেন দিপু ১০ বলে ৯ ও থিসারা পেরেরা ২ বলে ১ রান করে আউট হন।

চিটাগং কিংসের হয়ে ২১ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন খালেদ আহমেদ।