Logo
Logo
×

খেলা

উরুগুয়েকে উড়িয়ে ২৩ বছর পর কোপার ফাইনালে কলম্বিয়া

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৯ পিএম

উরুগুয়েকে উড়িয়ে ২৩ বছর পর কোপার ফাইনালে কলম্বিয়া

উরুগুয়েকেও ছাড় দিল না হামেস রদ্রিগেজের কলম্বিয়া। ছবি : সংগৃহীত

টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত। গেল বছর আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে হারিয়ে দেয়া উরুগুয়েকেও ছাড় দিল না হামেস রদ্রিগেজের কলম্বিয়া। মার্সেলো বিয়েলসার দলটিকে বলা হচ্ছিল, এবারের কোপা আমেরিকার অন্যতম সেরা এক দল। ট্যাকটিক্সের কারণেই কিনা উরুগুয়ের পক্ষে বাজি ধরেছিলেন অনেকেই। কিন্তু নেস্তোর লরেঞ্জোর দলটা যেন রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য। 

লাতিনের খেলায় শিল্পের ছাপ হারিয়েছে বহু আগেই। সেই জায়গায় এখন এসেছে শরীরী ফুটবল। উরুগুয়ে এবং কলম্বিয়ার ম্যাচেও দেখা গেল তা। ৬ হলুদ কার্ড, ১ লাল কার্ড আর ২৪ ফাউলের ম্যাচের ফল নির্ধারণ করলেন জেফারসন লারমা। পুরো আসরে দারুণ ছন্দে থাকা এই মিডফিল্ডারের একমাত্র গোলে ২০২৪ কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়া। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। 

বাংলাদেশ সময় আগামী সোমবার মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে এবারের কোপা আমেরিকার ফাইনালে খেলতে নামবে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া। এর আগে একবারই দুই দলের দেখা হয়েছিল কোপা আমেরিকার ফাইনালে। ১৯৯১ সালের সেই ফাইনালে ২-১ গোলে জয় নিয়ে ফেরে আর্জেন্টিনা।

ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার উন্মাদনা ছাপিয়ে এবারের আসরে সবচেয়ে আলোচিত দুই দল ছিল কলম্বিয়া এবং উরুগুয়ে। দুই দলেরই সাম্প্রতিক রেকর্ড ছিল দুর্দান্ত। ১৯৬০ সালের পর থেকে একই বছরে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে হারানো একমাত্র দল ছিল উরুগুয়ে। এবারের আসরেই তারা বিদায় করেছে ব্রাজিলকে। অন্যদিকে কলম্বিয়া গেল কয়েক বছর ধরেই আছে দারুণ ছন্দে। টানা ২৭ ম্যাচ হারের মুখ দেখেনি তারা।  

নর্থ ক্যারোলিনায় তাই দারুণ এক ফুটবলের অপেক্ষায় ছিলেন ফুটবলের ভক্তরা। কিন্তু দুই দলের কারো খেলাতেই দেখা গেল না সুস্পষ্ট পরিকল্পনার ছাপ। কলম্বিয়া বরাবরই হামেস রদ্রিগেজ এবং লুইস দিয়াজের গতিশীল ফুটবলের ওপর নির্ভর করেছে। সেমির মঞ্চেও তারাই খেললেন হলুদ জার্সিতে। 

বিপরীতে উরুগুয়ে খেলতে চেয়েছে বিয়েলসার চিরায়ত জোনাল মার্কিং সিস্টেমে। বল প্রতিপক্ষের পায়ে থাকলেই কড়া প্রেসিং করেছে। কিন্তু সেটা প্রেসিংয়ের তুলনায় ফাউলের জন্ম দিয়েছে বেশি। অবশ্য এরমাঝেও কলম্বিয়াই আধিপত্য দেখিয়েছে বেশি। ১৩ মিনিটে মুনোজ গোলের খুব কাছ থেকে ফিরে আসেন। ১৬ মিনিটে জেফারসন লারমার দুরপাল্লার শটও ভয় ধরিয়েছিল উরুগুয়ের বুকে। 

এরপরের মিনিটেই ম্যাচের সেরা সুযোগ মিস করেন উরুগুয়ের ডারউইন নুনিয়েজ। ফেডে ভালভার্দের দারুণ এক পাস সফলভাবেই নিয়ন্ত্রণে নেন এই স্ট্রাইকার। ছিটকে ফেলেছিলেন ডিফেন্ডার কার্লোস কুয়েস্তাকেও। এরপরেই অবিশ্বাস্যভাবে শট করেন গোলপোস্টের বাইরে। ম্যাচে লিড নেয়া হয়নি কলম্বিয়ার। 

২৮ মিনিটে আরও একবার সুযোগ পেয়েছিলেন নুনিয়েজ। এবারও সেই একইভাবে শেষ ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে চলে গিয়েছিলেন গোলের খুব কাছে। কিন্তু ফলাফল একই। বল রাখতে পারেননি পোস্টে। এমন মিসের শাস্তিটাও কলম্বিয়া দিল মিনিট দশেক পর। কর্নার থেকে হামেস রড্রিগেজ বল রেখেছিলেন দূরের পোস্টে। সেখান থেকেই মাথা ছুঁইয়ে দলকে গোল এনে দেন জেফারসন লারমা।  

ম্যাচের ৪৪ মিনিটে উরুগুয়ের ম্যানুয়েল উগার্তেকে মেজাজ হারিয়ে কনুই দিয়ে ধাক্কা দেন মুনোজ। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড হজম করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ফাইনাল মিস করছেন এই রাইটব্যাক। বড় ম্যাচের আগেই বড় ধাক্কা খেতে হলো কলম্বিয়াকে। 

নাটকীয় আর ঘটনাবহুল প্রথমার্ধের পর খুব বেশি কিছু দেখা যায়নি দ্বিতীয়ার্ধে। ৫১ মিনিটে হামেসের কর্নার আরেকদফায় ভয় দেখিয়েছিল উরুগুয়েকে। দশ জনের দলের বিরুদ্ধেও উরুগুয়ে হতাশ করেছে। ৬৬ মিনিটে ডারউইন নুনিয়েজের শট বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। যদিও সেই প্রচেষ্টা বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। ৭১ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের প্রচেষ্টাও ফিরে আসে বারপোস্ট থেকে।

ম্যাচের এরপরের বড় মুহূর্ত এসেছে ৮৮ মিনিটে। কলম্বিয়ার মিডফিল্ডার কাস্তানোর শট ফিরে আসে ক্রসবার থেকে। তবে তাতে আক্ষেপ করার কিছু ছিল না কলম্বিয়ার জন্য। ডিফেন্স শক্ত রেখেই অতিরিক্ত ৭ মিনিট পার করে দেয় তারা। তাতেই ২০০১ সালের পর ২৩ বছরের অপেক্ষা শেষে ফাইনালের টিকিট কাটলো কলম্বিয়া।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন