
ছবি : সংগৃহীত
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেও হতাশাজনক সূচনা করেছে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকারকে হারিয়ে ধাক্কা খায় টাইগাররা। ইনফর্ম এই ওপেনার মোহাম্মদ শামির বল সামলাতে পারেননি, অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরের কানায় লেগে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন।
পরের ওভারেই আরও বড় ধাক্কা আসে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন। হারষিত রানার দুর্দান্ত আউটসুইংয়ে বিভ্রান্ত হয়ে শর্ট কভারে বিরাট কোহলির হাতে ধরা পড়েন তিনি।
২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তানজিদ হাসান তামিম ও মেহেদি হাসান মিরাজ মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তবে সেটাও বেশি স্থায়ী হয়নি। সপ্তম ওভারে শামির আউটসুইং ডেলিভারিতে স্লিপে শুবমান গিলের হাতে ধরা পড়ে ১০ বলে ৫ রান করে ফেরেন মিরাজ।
অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো স্পিন আক্রমণে যান রোহিত শর্মা। অক্ষর প্যাটেলের করা ওভারের দ্বিতীয় বলেই অফ স্টাম্পের বাইরে সামান্য টার্ন করা ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাটের কানা ছুঁইয়ে রাহুলের গ্লাভসে ধরা পড়েন তামিম। ২৫ বলে ২৫ রান করে বিদায় নেন তিনি।
এরপর উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে তার ওপর দায়িত্ব ছিল পাহাড়সম। কিন্তু সেই দায়িত্ব তিনি মোটেও পালন করতে পারেননি। প্রথম বলেই ডিফেন্স করতে গিয়ে এজ হয়ে রাহুলের হাতে ক্যাচ দেন, ফলে গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরে যান সাজঘরে।
হ্যাটট্রিক ডেলিভারিতেও একই ধরনের বল করেন অক্ষর। এবারও ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা রোহিত শর্মার হাতে। তবে সহজ ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন ভারত অধিনায়ক, ফলে অক্ষর হ্যাটট্রিক মিস করেন।
১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান। ১০ রান নিয়ে উইকেটে আছেন তাওহিদ হৃদয়, অপরপ্রান্তে ৬ রানে অপরাজিত আছেন জাকের আলি। বড় স্কোর গড়তে হলে এই জুটির পারফরম্যান্সই হবে বাংলাদেশের শেষ ভরসা।