
ছবি : সংগৃহীত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে বড় পরাজয়ের পরই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ভারতের সাবেক তারকা ব্যাটার বীরেন্দ্র শেবাগ। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, "বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে কখনোই ভয় পাইনি।" তার এই মন্তব্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে।
দুবাইয়ে ৬ উইকেটে হারের পর এক টক শোতে শেবাগ বলেন, “এটা বাংলাদেশ! তোমরা এমনভাবে বলছো যেন বিশাল কিছু হয়ে গেছে! এটি অস্ট্রেলিয়া বা পাকিস্তান নয়, যারা কোনো আনপ্রেডিক্টেবল কিছু করতে পারে। সমর্থকদের মনে কোনো সংশয় ছিল না, আর আমার তো একদমই ছিল না!"
শেবাগের এই মন্তব্য অনেকেই দেখছেন বাংলাদেশকে হেয় করার প্রচেষ্টা হিসেবে।
বাংলাদেশের দেওয়া ২২৮ রানের লক্ষ্যে ভারত কিছুটা ধীরগতিতে ব্যাট করেছে। বিশেষ করে শুভমান গিলের ১২৯ বলে ১০১ রানের ইনিংস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে শেবাগ বলেন, “গিল একটু সময় নিয়ে খেলেছে, না হলে ম্যাচ ৩৫ ওভারেই শেষ হয়ে যেত। রোহিত-কোহলির কেউ আউট না হলে আরও আগেই জয় নিশ্চিত হতো।"
ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে উইকেটকিপার জাকের আলি লোকেশ রাহুলের একটি সহজ ক্যাচ মিস করেন। এই প্রসঙ্গ টেনে এনে পার্থিব প্যাটেল বলেন, “ওই ক্যাচ ধরতে পারলে তখনও ৭০ রান দরকার ছিল ভারতের!"
জবাবে শেবাগ রসিকতার সুরে বলেন, “তখনও তো হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা ছিল! এমনকি বাংলাদেশের জন্য কুলদীপ যাদবই যথেষ্ট ছিল!”
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রান সংগ্রহ করে। তাওহীদ হৃদয় দুর্দান্ত সেঞ্চুরি (১০০) করলেও বাকিরা তেমন সাপোর্ট দিতে পারেননি। জাকের আলি করেন ৫৩ রান। ভারতের পক্ষে মোহাম্মদ শামি ৫৩ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন।
জবাবে, ৪৬.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। শুভমান গিল ১২৯ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের বোলিং ছিল একেবারেই ধারহীন, যা ম্যাচের ফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে।
শেবাগের কটাক্ষের পর এখন ক্রিকেটপ্রেমীদের একটাই প্রশ্ন—পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশ কি পারবে শক্তিশালী জবাব দিতে? সেই উত্তর মিলতে পারে ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে!