ফের বন্ধ মোবাইল ইন্টারনেট, চলছে না ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০২:১৪ পিএম
মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আবারও ফেসবুক ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে চলছে না সঙ্গে মেটার আরও তিনটি প্ল্যাটফর্ম মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামও। এছাড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাশিয়াভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামও।
রবিবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ব্রডব্যান্ড সংযোগে স্বাভাবিকভাবে চালানো যাচ্ছে মাধ্যমগুলো।
এর আগে গত শুক্রবার একই ভাবে মোবাইল ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ হয়ে যায়। তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় জনগণের কাছে ক্ষমা চান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের কাছে যদি আমার কোনো ভুল হয়ে থাকে, আমি প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ‘ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অপপ্রচার বন্ধে ব্যর্থতা এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার সব দায়ভার আমার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার দায় আমি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
পলক আর বলেছিলেন, ‘যেভাবেই হোক ছাত্র-ছাত্রী এবং কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে আমাদের যে দূরত্ব এবং ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে, সেটা দূর করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সেটা আমাদের ঘর, প্রতিবেশী এবং প্রতিষ্ঠান থেকে করতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের চোখের ভাষা বুঝতে হবে।’
সর্বপ্রথম কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা শুরু হলে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে ৩১ জুলাই দুপুর পর্যন্ত মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম বন্ধ ছিল। গত ৩১ জুলাই বেলা ২টার পর থেকে তা চালু হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১২ কোটির বেশি। ফেসবুক মোবাইল ডেটায় বন্ধ থাকলে আবার ভিপিএনের ব্যবহার বাড়বে এবং তা ইন্টারনেটের গতির ওপর প্রভাব ফেলবে।
এর আগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকের ভূমিকার কথা বলেছিলেন।
ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে এসব প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি গত ৩১ জুলাই ফেসবুকের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন। ইউটিউব ইমেইলে ব্যাখ্যা দেয় এবং টিকটকের প্রতিনিধি সেদিন হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন।
তবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) স্পেকট্রাম (তরঙ্গ) বিভাগের দুজন কর্মকর্তা নাম-পরিচয় না উল্লেখ করে জানান, ফেসবুকের ক্যাশ সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শুনেছি। তবে তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
অন্যদিকে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো এ নিয়ে কথা বলতে নারাজ। গ্রামীণফোন ও রবির দুজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।