সৌদি আরবে অস্ত্র বিক্রির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৪, ০৭:১৯ পিএম
সৌদি আরবে অস্ত্র বিক্রির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল যুক্তরাষ্ট্র
শুধু আত্মরক্ষায় ব্যবহৃত অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম নয়, এবার সৌদি আরবকে আক্রমণাত্মক অস্ত্র বিক্রি করার ছাড় দিচ্ছে ওয়াশিংটন। ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে হামলার জেরে ২০২১ সালে সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তিন বছর পর এবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ওয়াশিংটন।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির যে নিষেধাজ্ঞা ছিল সেটি প্রত্যাহার করে তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, আকাশ থেকে ভূমিতে হামলা চালানোর মতো কিছু ক্ষেপণাস্ত্র সৌদিতে বিক্রিসংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। সংশোধিত অস্ত্র হস্তান্তর নীতি অনুসরণ করে ধাপে ধাপে সৌদির কাছে ওই ক্ষেপণাস্ত্র হস্তান্তর করা হবে।
সম্প্রতি হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার খুনের পর ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে হামলার হুমকি দিয়েছে ইরান। ফলে পশ্চিম এশিয়ায় নতুন করে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে জো বাইডেন সরকারের সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ইয়েমেন সরকারকে ইরানের মদতপুষ্ট হুথি বিদ্রোহী বাহিনীর হামলা থেকে রক্ষা করতে সৌদি আরবের সেনা আমেরিকার দেওয়া ‘আক্রমণাত্মক অস্ত্র’ ব্যবহার করেছিল বলে অভিযোগ আছে।
সেসময় সৌদি হামলায় শিয়া জনগোষ্ঠীর কয়েক হাজার সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। এর পরেই সৌদির বিরুদ্ধে ২০২১ সালে ওই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করেছিল বাইডেন সরকার।
২০২২ সালে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় হুথিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সইয়ের পর ইয়েমেনের মাটিতে কোনো হামলা চালায়নি সৌদি। তারই প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
প্রসঙ্গত, আপাতদৃষ্টিতে কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্কই বজায় রেখে চলে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানকার তেলের খনিগুলিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘আধিপত্য’ও কারও অজানা নয়। কিন্তু সম্প্রতি পশ্চিম এশিয়া কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে চীন। যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বেড়েছে।