ছবি : সংগৃহীত
সুপার টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। অনেক মানুষ নিখোঁজ থাকায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও বন্যায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন হাজারো মানুষ। খবর আল জাজিরার।
উত্তর ভিয়েতনাম, লাওস, থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারের একটি অংশ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের কারণে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮০ জনে, যার মধ্যে ভিয়েতনামের ২৩৩ এবং মিয়ানমারের ৩৬ জন। তবে অনেক মানুষ নিখোঁজ থাকায় তা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে মিয়ানমার ফায়ার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট (এমএফএসডি) গত বুধবার জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণের মান্দালয় অঞ্চলের ইয়ামেথিন টাউনশিপে প্রবল বন্যায় পাঁচটি গ্রামের ১০ জন নিহত এবং প্রায় ৫৩ হাজার ৯২৭ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। দেশটির প্রশাসনিক রাজধানী নেপিডোতে বন্যার প্রভাব পড়েছে। সেখানে শত শত মানুষ আটকা পড়েছে। নেপিডোর তাতকন টাউনশিপে বন্যায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ায় অনেকে গাছে আশ্রয় নিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ইয়াঙ্গুন এবং মান্দালয়ের মধ্যকার রেল পরিবহন সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। নেপিডোর পুরোনো ইয়াঙ্গুন-মান্দালয় মহাসড়কও পানিতে ডুবে গেছে। ফলে যানবাহন চলাচলও স্থবির হয়ে পড়েছে।
আবহাওয়াবিদ ইউ উইন নাইং দ্য ইরাবতীকে বলেছেন, টাইফুন ইয়াগির পরিপ্রেক্ষিতে মান্দালয়, সাগাইন ও মগওয়ে অঞ্চলে আরও ভারী বৃষ্টিপাত হবে। এর আগে উজান থেকে পানি এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে গত জুলাই মাসে ইরাবতী নদীর তীরবর্তী শহর ও গ্রামের হাজারো মানুষও প্রবল বন্যার শিকার হন।