অবশেষে চেষ্টায় সফল স্পেসএক্স, উৎক্ষেপণ প্যাডে নিরাপদে অবতরণ বুস্টারের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪০ পিএম
স্পেসএক্স-এর রকেটটি বার বার ব্যবহার করা যাবে এবং মানুষকে মঙ্গলগ্রহ ও চাঁদে নিয়ে যাওয়া যাবে। ছবি : রয়টার্স
অবশেষে সফল হলো ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। প্রথমবারের মতো উৎক্ষেপণ প্যাডে অবতরণ করেছে স্টারশিপ রকেটের সুপার হেভি বুস্টার। পঞ্চমবারের চেষ্টায় সফল হওয়ায় উচ্ছ্বসিত মাস্ক।
ঐতিহাসিক এক মুহূর্তের সাক্ষী হলো টেক্সাসবাসী। সফল হলো ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। স্থানীয় সময় রবিবার (১৩ অক্টোবর) সফলভাবে উৎক্ষেপণ প্যাডে নিরাপদে অবতরণ করল স্টারশিপ রকেটের সুপার হেভি বুস্টার।
এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে টেক্সাসের বোকাচিকা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পঞ্চমবারের মতো রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। একপর্যায়ে এর দ্বিতীয় ধাপের মহাকাশযানটি আলাদা হয়ে ভারত মহাসাগরে পড়ে। আর সুপার হেভি বুস্টার ফিরে আসে স্পেসএক্সের সে টাওয়ারে।
বুস্টারটি সঠিকভাবে অবতরণ করাকে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। এক্সে এক পোস্টে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি লেখেন: ‘টাওয়ার রকেটটিকে ধরে ফেলেছে।’
স্পেসএক্সের এ রকেটটি লম্বায় প্রায় ৪০০ ফুট। বিশ্বে তৈরি হওয়া এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট স্টারশিপের দুটি অংশ। একটি সুপার হেভি বুস্টার। এতে ৩৩টি ইঞ্জিন আছে, যা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্টিমেস রকেটের চেয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী। অন্যটি স্টারশিপ মহাকাশযান, যা এ সুপার হেভি বুস্টারের ওপর বসানো থাকে। এ রকেটটি ১০০ টনের বেশি যন্ত্রপাতি বহন করতে পারে।
এর আগে স্টারশিপ রকেটের পরীক্ষা হয়েছিল চারবার। গতবছরের এপ্রিল ও নভেম্বরে এবং এ বছরের মার্চ ও জুনে। সর্বশেষ জুনের পরীক্ষায় স্টারশিপ রকেটটি সফলভাবে সাগরে ফেলতে পেরেছিল স্পেসএক্স। ইলন মাস্কের মতে, অন্যগ্রহে মানুষের বসতি স্থাপন করতে যাওয়ার উপযোগী করে এ রকেটটি তৈরি করা হয়েছে। এটি বার বার ব্যবহার করা যাবে এবং মানুষকে মঙ্গলগ্রহ ও চাঁদে নিয়ে যাওয়া যাবে।
সূত্র : রয়টার্স