চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার ইস্যুতে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২০ এএম
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের উপযুক্ত আইনি সুযোগ দিতে হবে এবং মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সঙ্গে আচরণ করা প্রয়োজন। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবারে এ কথা জানানো হয়।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। এছাড়া ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
এদিনের ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয়, যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য ব্যারি গার্ডিনার ও প্রীতি প্যাটেল বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সংসদে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ২০০০টিরও বেশি সহিংস ঘটনা তুলে ধরে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সুরক্ষা, আইনশৃঙ্খলা ও ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারকে জরুরিভাবে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক ও নীতি পরিমাপের মাধ্যমে এই উদ্বেগের সমাধান করার কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমরা প্রতিটি সরকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজ করি, যাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে– আমরা স্পষ্ট করেছি- মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান থাকা দরকার; ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া দরকার। যেকোনও ধরনের প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত এবং যে কোনও ধরনের ক্র্যাকডাউন– এমনকি ক্র্যাকডাউন না হলেও– সকল দেশের সরকারকে আইনের শাসনকে সম্মান করতে হবে এবং এর অংশ হিসাবে মৌলিক মানবাধিকারকেও সম্মান করতে হবে। আর এই বিষয়ে আমরা গুরুত্বারোপ চালিয়ে যাব।
পরে ওই প্রশ্নকারী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশে ইসকনের নেতা। এছাড়াও ইউএস ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রস্তাবিত পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডও ইসকনের সদস্য। চিন্ময় দাসকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কারাগারে রাখা হয়েছে এবং বাংলাদেশের কোনো আইনজীবী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে দাঁড়াতে রাজি নয়, কারণ তার আইনজীবীকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আপনারা কি কোনো ব্যবস্থা নেবেন?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমার কাছে এই মামলার কোনো বিবরণ নেই। কিন্তু আবারও বলব, আমরা জোর দিয়ে যাচ্ছি এবং ইতোমধ্যেই জোর দিয়েছি, যারা আটক আছে তাদের পক্ষেও উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব করতে দিতে হবে এবং মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সাথে আচরণ করা প্রয়োজন।