রাশিয়ার মিসাইলের আঘাতে কাজাখস্তানে বিধ্বস্ত হয় বিমান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
কাজাখস্তানে বিধ্বস্ত হওয়া বিমান রাশিয়ার ভূমি থেকে প্রতিরক্ষা মিসাইলের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে বলে দাবি করেছে আজারবাইজান। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের কাছে দেশটির একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে মিসাইল আঘাতের বিষয়টি চিহ্নিত করা হয়েছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইউক্রেনীয় ড্রোন প্রতিহত করতে রাশিয়া ওই এলাকায় প্রতিরক্ষা মিসাইল মোতায়েন করেছিল। তবে আজারবাইজান এ বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। একইভাবে রাশিয়াও মন্তব্য করেছে যে, চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত হবে না। রুশ কর্তৃপক্ষের মতে, ইউক্রেনের ক্রমাগত ড্রোন হামলার কারণে ওই অঞ্চলে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় ছিল। বিশ্লেষকরাও বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক চার্লস এ. কাপচান বলেছেন, "একদিকে বলা হচ্ছে, বিমানটি পাখির ঝাঁকের সাথে সংঘর্ষে বিধ্বস্ত হয়েছে। অন্যদিকে বলা হচ্ছে, গতিপথ পরিবর্তনের কারণে রাশিয়া বিমানটিকে ভুল বুঝেছিল। এটি এমন একটি এলাকা, যেখান থেকে ইউক্রেন নিয়মিত ড্রোন হামলা চালায়। ফলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভুল প্রতিক্রিয়া বিমান বিধ্বস্তের কারণ হতে পারে। তবে এখনো বিষয়টি অস্পষ্ট।"
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অ্যান মেরি ডেইলের মতে, বিমানের ক্ষতচিহ্ন থেকে প্রতীয়মান হয় যে এটি মিসাইলের আঘাতে ধ্বংস হয়েছে। তিনি মনে করেন, এটি ভূমি থেকে নিক্ষেপিত মিসাইলের কাজ হতে পারে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রাশিয়ার পানসির-এস প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানটি দুর্ঘটনায় পতিত হতে পারে। তবে এটি ইচ্ছাকৃত ছিল না এবং সম্ভবত অদক্ষ পরিচালনার ফল। রাশিয়া এই বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, "তদন্ত এখনও চলমান। এমন দুর্ঘটনার তদন্ত স্পেশাল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে হওয়া উচিত। চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত অনুমানের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না।"
এদিকে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। ব্রাজিল থেকেও একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের অনুসন্ধান চালাচ্ছে।