বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি চায় বিএসএফের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর বাংলাদেশে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি নীলোৎপল কুমার পান্ডে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, সীমান্ত পাহারায় প্রচলিত পদ্ধতির পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে এবং এতে সাফল্যও মিলেছে।
পান্ডে পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ২০২৩ সালে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার অভিযোগে ৯৩১ জন ভারতীয় এবং ১৫৪৮ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যেখানে ২০২৪ সালে ওই একই অভিযোগে ৫৮৬ জন ভারতীয় এবং ১৯৭৫ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেন্সর যুক্ত নাইট ভিশন ক্যামেরা এবং প্যান-টিল্ট-জুম (PTZ) ক্যামেরার পুঙ্খানুপুঙ্খ নজরদারির মাধ্যমেই এই সাফল্য এসেছে।
নীলোৎপল কুমার পান্ডে জানান, দুই দেশের ৯১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারকে দেয়া হয়েছে। ভৌগোলিক ও জলবায়ুগত প্রতিকূলতার কারণে কাঁটাতারের অভাব রয়েছে অনেক জায়গায়। তাই ইলেকট্রনিক নজরদারি এবং প্রচলিত পদ্ধতির মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। কন্ট্রোল রুম থেকে সীমান্তের প্রতিটি গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য সংশ্লিষ্ট জওয়ানদের নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও মানবপাচার রোধে পাম্প অ্যাকশন বন্দুক (পিএজি) এবং সেন্সরসহ টপ-এন্ড গ্যাজেট ব্যবহার করা হয়।
তিনি জানান, বেষ্টনিবিহীন এলাকায় স্মার্ট বেড়া দেয়ার জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এবং কিছু জমি ইতোমধ্যেই বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে বৃহস্পতিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয় বিএসএফ এবং বিজিবি। বিএসএফের পক্ষ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের আইজি মনিন্দর পি.এস পাওয়ার-এর নেতৃত্বে এবং বিজিবির পক্ষে আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির-এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল। বৈঠকে সীমান্তে শান্তি ও সমন্বয় বজায় রাখতে এবং দুই বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। কমান্ডাররা আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধ, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম প্রতিরোধ এবং কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করেন।
দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের আইজি আরও বলেন, নিরাপদ সীমান্ত পরিবেশ উন্নীত করতে এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার চেতনা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।