টিউলিপকে মন্ত্রী বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজ দলের তোপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৭ পিএম
গত বছর কেয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি টিউলিপ সিদ্দিককে সিটি মিনিস্টারের দায়িত্ব দেন, যার কাজ ছিল আর্থিক বিষয়াবলীতে সম্ভাব্য দুর্নীতি প্রতিরোধ করা। তবে দুর্নীতির অভিযোগের মুখে টিউলিপকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়। টিউলিপ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
টিউলিপের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী স্টারমার নিজ দলের সদস্যদের তোপের মুখে পড়েছেন। এক লেবার এমপি দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, "টিউলিপকে মন্ত্রী বানানোর সিদ্ধান্ত ছিল আত্মঘাতী। সবাই জানত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। তাকে এই দায়িত্ব দিয়ে এতসব কিছু করার বিষয়টি কী ভালো ছিল?"
লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় টিউলিপ সিদ্দিকের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার মূল্য ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা)। ৩ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, ২০০৪ সালে টিউলিপকে এই ফ্ল্যাটটি উপহার দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের এক ডেভেলপার, যিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন।
এই ফ্ল্যাটের তথ্য সামনে আসার পর টিউলিপ ব্যাপক চাপের মুখে পড়েন। এরপর বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এসবের পর তার মন্ত্রিত্ব নড়বড়ে হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে সরে যেতে হয়।
৪২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক লেবার পার্টির সদস্য হন মাত্র ১৬ বছর বয়সে। ২০১৫ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড আসন থেকে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হন এবং চারবার জয়ী হন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার তাকে যুক্তরাজ্যের ট্রেজারি ও নগর বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন।