মিজোরামে অস্ত্রের বিশাল চালান জব্দ, ইউপিডিএফ ও সিএনএফের সংশ্লিষ্টতা দাবি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৮ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামের বাংলাদেশ লাগোয়া একটি সীমান্ত জেলা থেকে বিশাল অস্ত্রের চালান জব্দ করেছে দেশটির পুলিশ। মিজোরাম পুলিশ দাবি করেছে, এই চোরাচালানে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এবং মিয়ানমারের চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (সিএনএফ) জড়িত।
মিজোরাম পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) জানিয়েছেন, বুধবার মিজোরামে একটি বড় অস্ত্রের চালান জব্দ করা হয়েছে। মামিত জেলার সাইথাহ গ্রামের কাছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার পশ্চিম মিজোরামের মামিত জেলায় মিয়ানমারভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (সিএনএফ) নেতাসহ অন্তত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজ্য পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিজোরামের পশ্চিম ফাইলেং থানার সাইথাহ গ্রামের কাছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যৌথ অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় ছয়টি একে-৪৭ রাইফেল, ১০ হাজার ৫০টি কার্তুজ এবং ১৩টি ম্যাগাজিনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলছে, মিজোরামে এটাই অন্যতম বৃহৎ অস্ত্রের চালান জব্দের ঘটনা। এর মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি মোকাবিলা করা গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এবং মিয়ানমারের চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের মাঝে চোরাচালানের পরিকল্পনা ছিল।
সূত্র: পিটিআই, হিন্দুস্তান টাইমস
চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতাকে গ্রেপ্তার করা রাজ্যের বিদ্রোহ বিরোধী অভিযানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য বলে দাবি করেছে মিজোরাম পুলিশ।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, "এটি মিজোরামের বৃহত্তম অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা; যা এই অঞ্চলের অবৈধ গোষ্ঠীগুলোর জন্য শক্তিশালী সতর্ক বার্তা পাঠিয়েছে। এই ধরনের অস্ত্রের চালান জব্দ আন্তর্জাতিক অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য চলমান হুমকির গুরুত্বকে চিহ্নিত করে।"
মিজোরাম পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় পশ্চিম ফাইলেং থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। অস্ত্র চোরাচালানের নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে।