অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর, বিলম্বের কারণ নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজায় অবশেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টা ১৫ মিনিটে এই যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হয়।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর একটি নতুন অজুহাতের কারণে এটি বিলম্বিত হয়।
প্রথম দফায় হামাস ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে বলে জানিয়েছিল, কিন্তু তাদের তালিকা এখনো তেলআবিবকে দেয়া হয়নি। এ কারণেই যুদ্ধবিরতির সূচি পিছিয়ে দেয়া হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, তিনি রবিবার সাংবাদিকদের কাছে এই বিলম্বের কারণ এবং পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে একটি বিবৃতি দেবেন।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, আমরা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট জানাবো। আমাদের সঙ্গে থাকুন।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, রবিবার মুক্তি পাওয়া তিন ইসরায়েলি জিম্মির নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, নামগুলো বন্দিবিনিময়ের অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে সরবরাহ করা উচিত, যা আজ বিকাল ৪টার পরে হওয়ার কথা।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নেতানিয়াহু ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে নামের তালিকা না পাওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তুতি না নিতে।
শনিবার রাত পর্যন্ত বন্দিবিনিময়ের অবস্থানও পরিষ্কার ছিল না, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দক্ষিণ, মধ্য এবং উত্তর গাজার সীমান্তের কাছে তিনটি পৃথক সম্ভাব্য অবস্থান তৈরি করেছিল।
১৫ মাসের বিধ্বংসী যুদ্ধের অবসানে, শনিবার ৮ ঘণ্টার আলোচনা শেষে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তি অনুমোদিত হয়েছে, যা গোটা মধ্যপ্রাচ্যে স্বস্তি ফিরিয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, রবিবার সকালে যুদ্ধবিরতি এবং বিকাল ৪টায় বন্দিবিনিময় শুরু হবে। প্রথম দফায় হামাস চারজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। এরপর প্রতি সপ্তাহে তিনজন করে বাকি ৩০ জন জিম্মি মুক্তি পাবে। এভাবে তিন ধাপে সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস।
অন্যদিকে, প্রথম দফায় ২৪ দিনের মধ্যে ১৯০৪ জন ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবে। এর মধ্যে ৭৩৭ জন কয়েদি এবং গণহারে আটক ১১৬৭ জন ফিলিস্তিনি।
মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত বুধবার গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দেয়া হয়।
চুক্তি ঘোষণার পরও গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছিল। শনিবার গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি হামলায় একটি পরিবারের অন্তত পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন।