‘বিশেষ সরকারি কর্মচারী’ হিসেবে কাজ করছেন ইলন মাস্ক: হোয়াইট হাউস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীনে একজন বিশেষ সরকারি কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "বিশেষ সরকারি কর্মচারী" পদবিটি বোঝায় যে মাস্ক প্রশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন, তবে তিনি স্বেচ্ছাসেবক নন বা পূর্ণকালীন ফেডারেল কর্মচারীও নন।
এ বিষয়ে অবগত এক ব্যক্তি সিএনএনকে জানিয়েছেন, বিচার বিভাগের সংজ্ঞা অনুযায়ী, বিশেষ সরকারি কর্মচারী এমন কেউ, যিনি বছরে ১৩০ দিন বা তার কম সময়ের জন্য সরকারি দায়িত্ব পালন করেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাস্কের কাছে একটি গোপন নিরাপত্তা ছাড়পত্র রয়েছে এবং তিনি হোয়াইট হাউস ক্যাম্পাসে একটি অফিসও পেয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসনে তিনি সরকারি দক্ষতা উদ্যোগ (ডজ) বাস্তবায়নের বিস্তৃত ম্যান্ডেট নিয়ে কাজ করছেন।
এছাড়া, ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে মাস্কের ট্রেজারি বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ অর্থপ্রদান ব্যবস্থায় অ্যাক্সেস রয়েছে, যা সমগ্র ফেডারেল সরকারের পক্ষে থেকে অর্থ লেনদেন পরিচালনা করে। তবে এ নিয়ে ফেডারেল ইউনিয়ন ও অন্যান্য পক্ষ ট্রেজারি বিভাগের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
মাস্কের ভূমিকা নিয়ে ট্রাম্প বলেন, "ইলন মাস্ক আমাদের অনুমোদন ছাড়া কিছু করতে পারবেন না এবং করবেনও না। যেখানে প্রয়োজন, আমরা তাকে অনুমোদন দেব; যেখানে উপযুক্ত নয়, সেখানে অনুমোদন দেওয়া হবে না।"
উল্লেখ্য, মাস্কের ব্যবসায়িক সাফল্যের একটি বড় অংশ ফেডারেল অর্থায়নের ওপর নির্ভরশীল। তার কোম্পানি স্পেসএক্স সরকারি চুক্তির মাধ্যমে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পেয়েছে।
একজন বিশেষ সরকারি কর্মচারী হিসেবে মাস্ক স্বার্থ-সংঘাত প্রতিরোধ আইন দ্বারা আবৃত, যা সরকারি কর্মচারীদের ব্যক্তিগত আর্থিক স্বার্থকে প্রভাবিত করতে পারে এমন কোনো কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে। তবে এই আইন প্রয়োগের ক্ষমতা একমাত্র বিচার বিভাগের হাতেই রয়েছে।