গাজা পুনর্গঠনে প্রয়োজন ৫,৩০০ কোটি ডলার: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:১৭ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
টানা ১৫ মাস ধরে ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই অঞ্চল পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজন ৫ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার পুনর্গঠনের জন্য প্রথম তিন বছরে স্বল্পমেয়াদে প্রয়োজন অন্তত ২০.৫৬৮ বিলিয়ন ডলার। পুরোপুরি পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনে প্রয়োজন হবে ৫৩.১৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, গাজার অর্থনীতি ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে। ২০২৪ সালে গাজার অর্থনীতি ৮৩ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে এবং বেকারত্ব ৮০ শতাংশে পৌঁছাবে। এছাড়া অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দারিদ্র্যের হার ২০২৪ সালে ৭৪.৩ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যা ২০২৩ সালের শেষে ছিল ৩৮.৮ শতাংশ।
গুতেরেস বলেন, “তাৎক্ষণিকভাবে মানবিক সংকট মোকাবিলা এবং জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদান অত্যন্ত জরুরি।”
জাতিসংঘ ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর মানবিক সহায়তার জন্য ৬.৬ বিলিয়ন ডলারের আবেদন করেছিল। তার মধ্যে ৩.৬ বিলিয়ন ডলার গাজার ২১ লাখ ফিলিস্তিনির জরুরি প্রয়োজন মেটাতে বরাদ্দ করা হয়েছে।
গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করে। এ হামলায় গাজায় ৪৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ।
তিন-পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দি বিনিময়, স্থায়ী শান্তি, যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১১ হাজার ফিলিস্তিনি।
যদিও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস করেছে, তবু ইসরায়েল দীর্ঘদিন এই ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে।