Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী তিন ইসরায়েলি বন্দিকে রেড ক্রসের কাছে হামাসের হস্তান্তর

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম

যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী তিন ইসরায়েলি বন্দিকে রেড ক্রসের কাছে হামাসের হস্তান্তর

ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় তিন ইসরায়েলি বন্দিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

নুসাইরাত শহরে শত শত ফিলিস্তিনির সামনে মুখোশধারী, সশস্ত্র হামাস যোদ্ধারা হাজির করে ওমের ওয়েনকার্ট, ওমের শেম টোভ ও এলিয়া কোহেনকে। বন্দিদের সামরিক পোশাক পরিয়ে তারা রেড ক্রসের গাড়িতে তুলে দেয়, যা পরে ইসরায়েলের উদ্দেশে রওনা হয়। পুরো ঘটনাটি ছিল পরিকল্পিত ও প্রতীকী, যেখানে হামাস একদিকে তাদের শক্তি প্রদর্শন করেছে, অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে বন্দিমুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোহেন, শেম টোভ এবং ওয়েনকার্ট ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ গাজায় নোভা মিউজিক ফেস্টিভাল থেকে অপহৃত হন। সেদিন হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরায়েল গাজার বিরুদ্ধে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে, যা এই অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের নতুন অধ্যায় উন্মোচন করে।

এই বন্দিমুক্তির আগে গাজার রাফাহ শহর থেকে আরও দুই বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। তারা হলেন তাল শোহাম, যিনি ৪০ বছর বয়সী, এবং অ্যাভেরা মেঙ্গিস্টু, যিনি ৩৯ বছর বয়সী। এর বাইরে হিশাম আল-সাইয়েদ নামের ৩৬ বছর বয়সী আরেক বন্দিকে গাজার মধ্যাঞ্চল থেকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল।

আল-সাইয়েদ এবং মেঙ্গিস্টু প্রায় এক দশক আগে স্বেচ্ছায় গাজায় প্রবেশ করেন, এরপর থেকে তারা হামাসের হেফাজতে ছিলেন। অন্যদিকে, তাল শোহাম ২০২৩ সালের নভেম্বরে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে অপহৃত হয়েছিলেন। সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতির সময় তার স্ত্রী ও সন্তানরা মুক্তি পেলেও তিনি তখন মুক্ত হননি।

রয়টার্স জানিয়েছে, এই ছয়জনই যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে মুক্তি পাওয়ার জন্য নির্ধারিত ৩৩ জন বন্দির মধ্যে শেষ জীবিতরা। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির আওতায় এই বন্দিমুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

এই বন্দিমুক্তির একদিন আগে, শুক্রবার, হামাস দুই শিশুর মরদেহ ইসরায়েলে ফেরত পাঠায়। চার বছরের অ্যারিয়েল বিবাস এবং দশ মাস বয়সী কফির বিবাসের মরদেহ ফেরত পাওয়ার পর ইসরায়েলে শোকের ছায়া নেমে আসে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তাদের পরিবারের সদস্যরা কেবল তাদের হারানোর কষ্ট নিয়েই বেঁচে থাকবেন।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: [email protected]

অনুসরণ করুন