গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ : হামাসের দাবি উপেক্ষা করছে ইসরাইল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৯ এএম

ছবি : সংগৃহীত
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস অভিযোগ করেছে যে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করেছেন। সংগঠনটি জানিয়েছে, চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা ইসরাইল করছে না, যদিও এর মেয়াদ ১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা।
প্রথম পর্যায়ের চুক্তি, যা ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হয়, তাতে ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি, গাজার কিছু অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার ও মানবিক সহায়তা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি ছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে সব ইসরাইলি বন্দির মুক্তি ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা ছিল, যা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
হামাসের সিনিয়র নেতা বাসেম নাঈম ইসরাইলের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বলেছেন, ‘ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করছে এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’ তিনি আরও জানান, প্রথম পর্যায়ে ১০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং নেটজারিম করিডোর থেকে সেনা প্রত্যাহারে বিলম্ব করা হয়েছে।
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে ইসরাইলি কর্মকর্তারা হামাসের কিছু অভিযোগ সত্য বলে স্বীকার করলেও সরকার তা আনুষ্ঠানিকভাবে অস্বীকার করেছে। ইসরাইলের প্রতিশ্রুত ৬০,০০০ মোবাইল হোম ও ২,০০,০০০ তাঁবু এখনো গাজায় পাঠানো হয়নি, যেখানে ২.৪ মিলিয়ন জনগণের ৯০ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
নেতানিয়াহু যুদ্ধ পুনরায় শুরুর হুমকি দিয়ে বলেছেন, তিনি গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে চান এবং হামাসের সামরিক ও শাসনক্ষমতা ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নেতানিয়াহু দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতিতে যেতে অনিচ্ছুক, কারণ এটি ইসরাইলি বাহিনীর শক্তি কমাবে এবং চূড়ান্তভাবে যুদ্ধের সমাপ্তি ডেকে আনবে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হামাস চুক্তি অনুযায়ী ছয়জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিলেও, ইসরাইল ৬২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়নি। নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়েছে, তাই বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। এর ফলে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।