Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

রোজায়ও টিকে থাকার লড়াই গাজাবাসীর, ধ্বংসস্তূপে ইফতার

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ১১:৩১ পিএম

রোজায়ও টিকে থাকার লড়াই গাজাবাসীর, ধ্বংসস্তূপে ইফতার

ছবি : আল-আরাবিয়া

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার চিত্র এখন ধ্বংসস্তূপের নগরী। হাতে গোনা কয়েকটি ভবন ছাড়া পুরো শহর মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও ফিলিস্তিনিরা রমজানকে স্বাগত জানাতে রঙিন সাজসজ্জায় নিজেদের আশপাশ আলোকিত করেছেন। নানা রঙের বেলুন ও কাগজের সাজ দিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত জন্মভূমিতে রোজার আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন তারা।

শনিবার দক্ষিণ গাজায় ধ্বংসস্তূপের মাঝে কয়েকশ মিটার দীর্ঘ লাল কাপড়ে ঢাকা একটি টেবিল তৈরি করেন স্থানীয়রা। সেখানেই একসঙ্গে সমবেত হয়ে রমজানের প্রথম দিনের ইফতার করেন ফিলিস্তিনিরা। সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ ভগ্নস্তুপের মধ্যেই ইফতার করতে বসেন তারা, যেন যুদ্ধের মাঝেও জীবন থেমে নেই।

এই ব্যতিক্রমী ইফতার আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা মালাক ফাদ্দা বলেন, "আমরা অসীম কষ্ট আর ধ্বংসের মধ্যে আছি, চারপাশের পরিস্থিতি হৃদয়বিদারক। তবুও আমরা এই রাস্তায় রমজানের আনন্দ ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেমনটা যুদ্ধের আগেও ছিল।"

একইভাবে, মোহাম্মদ আবু আল-জিদিয়ান বলেন, "আমরা ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে আছি। যন্ত্রণার পাহাড়ের মধ্যেও আমরা অবিচল। আমরা আমাদের জমিতেই ইফতার করছি, এখানেই থাকব, এ ভূমি আমরা ছাড়ব না।"

এদিকে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে রাতের আঁধারে সেহরির জন্য মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল। যদিও বাস্তবতা তাদের জন্য কঠিন, তবু ধর্মীয় আবহ বজায় রাখতে তারা চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি।

উত্তর গাজার বিধ্বস্ত জাবালিয়া শিবিরের বাসিন্দা ওমর আল-মাধৌন তার সংগ্রামের কথা বলতে গিয়ে বলেন, "আমার বাচ্চারা মাঝে মাঝে নতুন কাপড় বা খাবার চায়, কিন্তু আমি দেড় বছর ধরে কর্মহীন, তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারছি না।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা ধ্বংসস্তূপের মাঝে বসে আছি, জানি না কীভাবে জীবন চালিয়ে যাব। তার ওপর আতঙ্কে আছি, না জানি আবার যুদ্ধ শুরু হয় এবং আরও ধ্বংস নিয়ে আসে।"

গাজার আকাশে হয়তো এখনও যুদ্ধের কালো মেঘ ঘনিয়ে আছে, কিন্তু ফিলিস্তিনিরা প্রমাণ করে দিচ্ছেন— কষ্টের মাঝেও জীবনের আলো জ্বালিয়ে রাখা সম্ভব।

সূত্র: আল-আরাবিয়া

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: [email protected]

অনুসরণ করুন